বাংলাদেশের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর ভূমিকা ছিল গায়কের। কিন্তু তাঁর ইমেজ ছিল নায়কের মতো। এই মিডিয়া বিস্ফোরণের কালে এসে যা-ই হোক, তাঁকে গণমাধ্যমে অল্পবিস্তর পাওয়া যেত। কিন্তু গত শতকের শেষ দুটো দশকে, যখন তিনি দাপটের সঙ্গে শাসন করছেন বাংলাদেশের সিনেমাকেন্দ্রিক সংগীতজগৎ, তখনো তিনি যেন এক রহস্য-মানব!
‘প্লেব্যাক সম্রাট’ এন্ড্রু কিশোরকে হারানোর ৪ বছর। দীর্ঘ ১০ মাস ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধ করে ২০২০ সালের আজকের এই দিনে (৬ জুলাই) মারা যান দেশের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী ও প্লেব্যাক সম্রাট এন্ড্রু কিশোর। চার দশকেরও বেশি সময় ধরে সুরের জাদুতে সংগীতপ্রেমীদের মাতিয়ে রাখেন এই কিংবদন্তি।
সম্প্রতি ‘একুশে পদক-২০২৪ ’-এর জন্য মনোনীতদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সংগীতে একুশে পদক পেয়েছেন এন্ড্রু কিশোর (মরণোত্তর) ও শুভ্র দেব। শুভ্র দেব এই পুরস্কার পাওয়ায় আপত্তি তুলেছেন দেশের জনপ্রিয় সংগীতজ্ঞ প্রিন্স মাহমুদ। তাঁর কথার পরিপ্রেক্ষিতে মুখ খুলেছেন শুভ্র দেব। তিনি দাবি করেছেন, সংগীত অঙ্গনে
বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দেশের ২১ জন বিশিষ্ট নাগরিককে একুশে পদক–২০২৪ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ মঙ্গলবার সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আইরীন ফারজানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এবার সাংস্কৃতিক অঙ্গনের থেকে বেশ কয়েকজন
বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দেশের ২১ জন বিশিষ্ট নাগরিককে একুশে পদক–২০২৪ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আজ মঙ্গলবার সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আইরীন ফারজানা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
বাংলা গানের কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী এন্ড্রু কিশোরের প্রয়াণ দিবসে রাজশাহীতে তাঁর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। এন্ড্রু কিশোরের প্রতিষ্ঠিত সংগঠন ওস্তাদ আব্দুল আজিজ স্মৃতি সংসদের সদস্যরা আজ বৃহস্পতিবার রাজশাহী সার্কিট হাউস সংলগ্ন খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের সমাধীস্থলে তাঁর সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
দীর্ঘ ১০ মাস ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধ করে ২০২০ সালের আজকের এই দিনে (৬ জুলাই) মারা যান দেশের কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী ও প্লেব্যাক সম্রাট এন্ড্রু কিশোর। চার দশকেরও বেশি সময় ধরে সুরের জাদুতে সংগীতপ্রেমীদের মাতিয়ে রাখেন এই কিংবদন্তি
রাজশাহীর কৃতী সন্তান ও জনপ্রিয় প্লেব্যাক কণ্ঠশিল্পী প্রয়াত এন্ড্রু কিশোরের স্মৃতি ধরে রাখতে রাজশাহী নগরীর একটি সড়ক ‘এন্ড্রু কিশোর সরণি’ করার দাবি উঠেছে। গতকাল রোববার দুপুরে রাজশাহী নগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে এ দাবি তোলা হয়।
রাজশাহীর কৃতী সন্তান ও জনপ্রিয় প্লেব্যাক সম্রাট কণ্ঠশিল্পী প্রয়াত এন্ড্রু কিশোরের স্মৃতি ধরে রাখতে রাজশাহী নগরীর একটি সড়ক ‘এন্ড্রু কিশোর সরণি’ করার দাবি উঠেছে। রাজশাহীর সাধারণ জনগণের পাশাপাশি বিশিষ্টজনেরা এ দাবিতে এককাট্টা হয়ে কর্মসূচি পালন করেছেন।
রাজশাহীতে গানে গানে কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী অ্যান্ড্রু কিশোরের ৬৭ তম জন্মদিন উদ্যাপন করা হয়েছে। নন্দন সাহিত্য একাডেমির উদ্যোগে আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজশাহী নগরীর লালন শাহ মুক্ত মঞ্চে এ অনুষ্ঠান হয়।
ছোটবেলা থেকেই এন্ড্রু কিশোরের গান ভালোবাসতেন চম্পা বণিক। এখনো মঞ্চে উঠলে দর্শক এন্ড্রু কিশোরের গান গাওয়ার অনুরোধ জানালে খুশিতে মন ভরে ওঠে তাঁর। প্রাণখুলে কণ্ঠে তোলেন কিশোরের গান।
এ প্রজন্মের সংগীতশিল্পী রাজীবের প্রিয় শিল্পী এন্ড্রু কিশোর। তাঁর কন্ঠেও ভক্তরা এন্ড্রু কিশোরের গান শুনতেই বেশি ভালোবাসেন। আগামী ঈদে দীপ্ত টিভির আয়োজনে বাংলাদেশের প্লে-ব্যাক সম্রাট এন্ড্রু কিশোরের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে গান গাইবেন রাজীব।
প্রিয় জন্মভূমি রাজশাহীতেই শেষ নিঃশ্বাসটুকু নিতে চেয়েছিলেন কিংবদন্তী কণ্ঠশিল্পী এন্ড্রু কিশোর। জীবনের শেষ কয়েকটা দিন ছিলেন রাজশাহীতেই। মৃত্যুর পর কোথায় সমাহিত হবেন, সেই জায়গাটিও দেখিয়ে গিয়েছিলেন নিজে। তাঁর পছন্দের জায়গাতেই হয়েছে সমাধি।
দেশের কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী এন্ড্রু কিশোর যখন বুঝতে পেরেছিলেন ‘দয়াল’ ডাক দিয়েছেন, তখন রাজশাহীতেই আসতে চেয়েছিলেন। রাজশাহী আসার পর জীবনের শেষ ১৫টা দিন বোনের বাড়িতেই ছিলেন। তারপর এক সন্ধ্যায় হাজারও ভক্ত-অনুরাগীকে কাঁদিয়ে পাড়ি দেন না ফেরার দেশে।
বাবা-মা তো অনেক আগেই মারা গেছেন। এন্ড্রু কিশোরের অভিভাবক বলতে ছিলেন মাতৃতূল্য বোন শিখা বিশ্বাস আর বোনজামাই প্যাট্টিক বিপুল বিশ্বাস। এন্ড্রু কিশোরের জীবনের শেষ কয়েকটা দিনও কেটেছে তাঁদের সঙ্গে। আজ এক বছর হলো এন্ড্রু কিশোর নেই।
এন্ড্রু কিশোরের সঙ্গে আমার সম্পর্ক প্রায় ৪০ বছরের। কিশোর চলে যাওয়ায় আমার যেন অঙ্গহানি হয়েছে। ইত্যাদি মানেই ছিল এন্ড্রু কিশোরের গান। তাঁর বাসা ছিল আমার অফিসের পাশে। আমরা একসঙ্গে আড্ডা দিতাম।
এন্ড্রু কিশোরকে চেনেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। কিন্তু তাঁর স্ত্রী-সন্তানদের চেনেন কয়জন? তাঁরা গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও নেই পদচারণা। যেন সবার আড়ালেই থাকতে পছন্দ করেন তাঁরা।